করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক এবং শক্তিশালী ভাইরাস ওমিক্রন। দেশে করোনার প্রকোপ আবার বেড়ে গেলেও বাড়েনি মানুষের সচেতনতা। মৃদু উপসর্গের কারণে ঢিলেঢালাভাবে যখন মানুষ ওমিক্রনকে নিয়েছে তখনই মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ওমিক্রনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষণ।
সাধারণত ওমিক্রনের চিকিৎসা বাড়িতে করা গেলেও এই রোগের প্রভাব থেকে যাচ্ছে দীর্ঘমেয়াদে। চিকিৎসকরা বলছে ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার পরও রোগীদের মধ্যে কিছু সমস্যা থেকে যাচ্ছে। এসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা মূলত ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ফলেই ।
ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে সাধারণত রোগীদের সামান্য জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব থাকে। এইসব উপসর্গ দেখা দিলে যদি করোনা টেস্টের পর কোনো ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হয় তবে তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
বাড়িতেই চিকিৎসা ও জীবনযাত্রায় একটু পরিবর্তন এনেই এই ভাইরাসটিকে জয় করা যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে না। তারা করোনা জয় করতে পারলেও তাদের শরীরে ব্যথা অনুভব করছেন।
রোগীরা বলছে এই ব্যথা মূলত পিঠে আর কোমরে দীর্ঘক্ষণ থাকে। কেউ কেউ বলছে শরীরের বিভিন্ন পেশিতেও তারা এই ব্যথা অনুভব করছে। ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার পরও যখন রোগীরা এসব সমস্যায় ভুগছে তখন গবেষকরা বলছে মৃদু উপসর্গ থাকলেও একে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই আমাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছে ওমিক্রন নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। গবেষণার জন্য এখনও অনেক সময় প্রয়োজন। মৃদু উপসর্গর এই ভ্যারিয়েন্ট নীরবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে দিচ্ছে কিনা তা জানতেও গবেষণার প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১৭১ টিরও বেশি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী লাগামহীনভাবে বাড়ছে। তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত না জানা পর্যন্ত আমাদের সবারই সচেতন হতে হবে।